khagrachari Plus
খাগড়াছড়িমঙ্গলবার , ২ ডিসেম্বর ২০২৫
Khagrachari plus ads
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খাগড়াছড়ি হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে, বেড না পেয়ে ফ্লোরেই চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিনিধি
০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ ১১৮ জন পড়েছেন
Link Copied!

খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে শিশু রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে চরম চাপ। বেড সংকট এতটাই তীব্র যে নবজাতক থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের শিশু পর্যন্ত অনেককেই ফ্লোরে বেডিং করে ভর্তি করাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডগুলো সম্পূর্ণ পূর্ণ। ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও ঋতুজনিত ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত শিশুদের দীর্ঘ সারি। ওয়ার্ডের ভিড় সামাল দিতে নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। জায়গা না থাকায় ফ্লোরে বিছানা করে শিশু রোগীদের শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ অবস্থায় হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা রোগীদের পাশে বসেই নয়, বরং মাটিতে হাঁটু গেড়ে শিশুদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে।

ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, “শীতের কারণে শিশুদের ভাইরাল সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। দিনে গড়ে ১৫০–২০০ জন শিশুকে আউটডোরে দেখতে হচ্ছে। ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। বেড নেই, তবে চিকিৎসা থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তাই ফ্লোরেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান,
“জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগী সবচেয়ে বেশি।”

অভিভাবকদের অভিযোগ, হাসপাতালে জায়গা না থাকায় তারা ছোট্ট সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রূপালী চাকমা বলেন, “আমার ছেলেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আনার পরও বেড পাইনি। ফ্লোরেই রাখতে হয়েছে। তারপরও ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন দেখে ভালো লেগেছে।”

চিকিৎসা সংকটের এ অবস্থার মধ্যেই সামনে আসে অবকাঠামোগত বড় সমস্যা। খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ২৫০ শয্যার ১০ তলা ভবন নির্মাণের কাজ দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে চলছে ধীর গতিতে। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়- কাজের বেশ কিছু অংশ অসম্পূর্ণ, অনেক জায়গায় কাজ বন্ধ, সরঞ্জাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।

দীর্ঘসূত্রতায় নতুন ভবনটি ব্যবহারে আসতে না পারায় পুরোনো ভবনের ওপরই চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

একাধিক হাসপাতাল কর্মকর্তা জানান, নতুন ভবনটি চালু হলে শিশু ওয়ার্ডসহ সব বিভাগে বেড ও সুবিধা বহুগুণ বৃদ্ধি পেত, ফলে রোগীর এমন দুরবস্থা কমে যেত। কিন্তু কাজের গতি না থাকায় পুরোটাই এখন অচল।

Khagrachari plus ads