খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকালে মেরুং বাজার এলাকার ২৭ বছর বয়সী ইসমাইল হোসেনকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এতে তার দুই হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ফাঁড়ির সামনে জড়ো হন। পরিস্থিতি শান্ত করতে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগ শোনেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে তিনি অভিযোগটি লিখিত আকারে পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করেন।
ওসি মো. জাকারিয়া বলেন,
“ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
উল্লেখ্য, এসআই নাজমুল মাত্র চার দিন আগে ছোট মেরুং পুলিশ ফাঁড়িতে যোগ দিয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেনের দাবি, কয়েক দিন আগে ফাঁড়ির ইনচার্জ বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দাবি করেছিলেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে বাইক চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই নাজমুল হাসান বলেন, তিনি ইসমাইল হোসেনকে মারধর করেননি।