ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল ও জনসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই স্মরণীয় দিনে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের স্লোগান, বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক উন্মাদনা। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয় বিজয় মিছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি গিয়ে থামে মুক্ত মঞ্চ এলাকায়, যেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক জনসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। তিনি বলেন, সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহেদুল হোসেন সুমন এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আঃ মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রব রাজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুরো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। টহল ও নজরদারি ছিল বাড়ানো, তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় আয়োজনটি।
“গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি করা অন্যায় অবিচার জাতি ভুলে যেতে পারে না। তাঁকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশছাড়া করা হয়েছে, আর আজও বহু নেতা-কর্মী নিখোঁজ কিংবা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এই বিজয়ের দিনে আমরা এসব অবিচার ভুলে যেতে পারি না।”
“ফ্যাসিস্ট সরকার গুম, খুন, লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করেছে। খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বরে ছাত্রদের উপর চালানো বর্বর হামলা ইতিহাসে রয়ে যাবে কালো অধ্যায় হিসেবে।”