বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়িতে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী নানা আয়োজন।
আজ সোমবার (১৬ডিসেম্বর) ভোরে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কয়ার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ দিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, জেলা বিএনপি, পৌরসভা,অফিসার্স ক্লাব, সামাজিক সংগঠন ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ন্যাশনাল চিল্ড্রেনস টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ), বনবিভাগ, এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়, জাবারাং কল্যাণ সমিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতি সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা শহরে একত্রিশবার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিনব্যাপী স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের প্রদর্শনী ও বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পান।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান কর্মসূচি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচিসহ শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া-প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বিজয় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, তেরাং তৈকালাই(রিছাং ঝর্ণা) সর্বসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসের এই আয়োজন শুধু খাগড়াছড়ি নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের দিন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।