লেখক : মোঃ সহিদুল ইসলাম সুমন,
অর্থনীতি বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও সদস্য, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
বাংলাদেশে বেকারত্ব বর্তমানে কেবল অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের বিষয় নয়, বরং এটি একটি গভীর কাঠামোগত সংকট, যা দেশের আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলেই কাউকে বেকার হিসেবে গণ্য করা হয় না , কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই সামান্য কর্মসংস্থান জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। ফলস্বরূপ, দাপ্তরিক পরিসংখ্যানের আড়ালে প্রায় এক কোটি মানুষ মনমতো কাজ না পাওয়ায় ‘ছদ্মবেকার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন, যা দেশের শ্রমবাজারের নিম্ন উৎপাদনশীলতার গুরুতর ইঙ্গিত দেয় । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২৭ লাখ ৩০ হাজারে পৌঁছেছে , যা গত এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাতীয় বেকারত্বের হারকে ৪.৬৩ শতাংশে উন্নীত করেছে । এই বেকারত্বের শিকার তরুণ জনগোষ্ঠীই বেশি, যেখানে মোট বেকারের ৭৬ শতাংশই ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুবগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত । বর্তমান এই পরিস্থিতিকে ‘কর্মসংস্থানের জরুরি অবস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় ।
এই সংকটের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের তীব্রতা। শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে মোট বেকারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৮ লাখ ৮৫ হাজার মানুষই স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী । উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ১৩.৫ শতাংশ , যা অন্যান্য শিক্ষাগত স্তরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি; প্রতি ১০০ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত । এই হার গত এক যুগে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, এবং গত ১০ বছরে উচ্চশিক্ষিত বেকার বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ শতাংশ । এই পরিসংখ্যান উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিনিয়োগের প্রত্যাশিত উৎপাদন না পাওয়ার করুণ চিত্র তুলে ধরে, যেখানে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা দুই-তৃতীয়াংশ (৬৬ শতাংশ) শিক্ষার্থীই বেকার থাকছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে । এই পরিস্থিতি নির্দেশ করে যে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের মধ্যে বিশাল ফারাক বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষিত তরুণরা প্রায়শই বাজারে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে ভুগছেন, ফলে তারা উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি নিয়েও ‘জ্ঞানখাটো’ বা ‘মূল্যহীন’ মানুষে পরিণত হচ্ছেন । বিশেষত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-কেন্দ্রিক কলেজগুলোতে শ্রমবাজারে চাহিদা কম এমন বিষয়ে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি এই শিক্ষিত বেকারত্বকে আরও ঘনীভূত করছে ।
শিক্ষিত বেকারত্বের এই চরম অবস্থার বিপরীতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা অর্জনকারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ায় আশার সঞ্চার হয়েছে। ২০১০ সালে কারিগরি শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৭ শতাংশ ছিল, যা ২০২২ সালে কমে মাত্র ৩.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । এই প্রবণতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে সমস্যাটি কেবল চাকরির অভাব নয়, বরং এটি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী ‘প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব’ বা Skill Mismatch-এর ফল। উচ্চশিক্ষিতদের তীব্র বেকারত্ব কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করে না, বরং এটি সামাজিক অস্থিরতা ও মানবসম্পদের অপচয়ের কারণ। চাকরি না পাওয়ার হতাশা তরুণদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও আত্মবিশ্বাস হ্রাসের জন্ম দিচ্ছে । সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেছনে চাকরি না পাওয়ার হতাশা একটি মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে । দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব অর্থনীতিতে সমষ্টিগত চাহিদা হ্রাস করে, রাজস্ব সংগ্রহ সংকুচিত করে এবং দেশের উৎপাদনশীলতাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষীণ করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করে ।
বাংলাদেশে বেকারত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শ্রমবাজারে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর আগমন এবং সেই তুলনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির নিম্নহার। প্রতি বছর প্রায় ২৪ লাখ তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশযোগ্যতা লাভ করছেন । জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিনিয়োগ না হওয়ায় ক্রমান্বয়ে বেকারত্ব বাড়ছে । দেশে মূলধন গঠনের হার কম হওয়ায় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হচ্ছে না এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হচ্ছে । সরকারি নিয়োগের চিত্র অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি অফিসগুলোতে প্রায় ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি শূন্য পদ থাকলেও , ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে গড়ে বছরে মাত্র ৭১ হাজার পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে । বেসরকারি খাতেও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিনিয়োগ না বাড়লে এই শিক্ষিত বেকারত্বের সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে । এছাড়া, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৫ থেকে ৭ শতাংশ হলেও কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ২ শতাংশ , যা প্রমাণ করে দেশের প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধির দিকে ঝুঁকছে । এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বর্তমানে জনমিতিক লভ্যাংশ বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের চূড়ায় থাকা সত্ত্বেও, যদি এই বিশাল কর্মক্ষম জনশক্তিকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করা না যায়, তবে এই সুবর্ণ সুযোগ দেশের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে ।
আগামী দিনের শ্রমবাজার, দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে, প্রথাগত দক্ষতার চেয়ে প্রযুক্তিনির্ভর এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (4IR) সংশ্লিষ্ট দক্ষতার ওপর বেশি নির্ভরশীল হবে। এই পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কর্মীদের অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য । ফ্রিল্যান্সিং বা গিগ কর্মসংস্থান একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র; তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্যান্য দক্ষতা অর্জন করে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঝুঁকছেন এবং বিদেশে কাজ করছেন । এই উদ্যোগকে MSME ব্যবসা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হলে তরুণ উদ্যোক্তারা উপকৃত হতে পারেন । এছাড়াও, টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি কার্যকারিতা এবং এনার্জি অডিটের মতো ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়বে । আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দিকে তাকালে দেখা যায়, বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে দক্ষতার মাধ্যমে কাজে লাগানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে । কেয়ারগিভিং, রান্না এবং হসপিটালিটির মতো বিশেষায়িত সেবা খাতে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে উচ্চ চাহিদার আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ কর্মী পাঠানো সম্ভব । বর্তমানে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন , কিন্তু বেশিরভাগই অদক্ষ শ্রমিক হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স আসছে না। তাই আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের উপযোগী দক্ষতা, পাশাপাশি বিদেশী ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে জনমিতিক সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা জরুরি ।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়লেও এর গুণগত মান নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারিগরি শিক্ষা অর্জনকারীদের বেকারত্বের হার কম হলেও , মানসম্মত প্রশিক্ষণের অভাব প্রকট। দেশের কারিগরি শিক্ষায় প্রদত্ত সনদগুলো কোনো আন্তর্জাতিক প্রত্যয়নকারী সংস্থার মান পূরণ করে না । এছাড়া, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ল্যাবের অপ্রতুলতা, যন্ত্রাংশের অকেজোতা এবং সবচেয়ে গুরুতর হলো ৮০ শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি থাকা মানসম্মত শিক্ষাকে ব্যাহত করছে । সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে এবং অষ্টম শ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে । কিন্তু কেবল সংখ্যাগত সম্প্রসারণ কোনো সমাধান নয়; যদি চলমান প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ ও আধুনিক ল্যাব স্থাপন নিশ্চিত করা না যায়, তবে কেবল নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা অর্থহীন । বরং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলামের গুণগত রূপান্তর এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সনদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে দক্ষ শ্রম রপ্তানিকারক দেশে উন্নীত হওয়া এখন সময়ের দাবি।
২০২৬ সালের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারকে বহু-মাত্রিক ও সুদূরপ্রসারী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল , যার মধ্যে ৮১ লাখ ৭০ হাজার দেশে এবং ৩৫ লাখ প্রবাসে । বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রিজার্ভ সংকটের মুখে এই লক্ষ্য অর্জন কঠিন হলেও, সরকারের করণীয় হলো একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা । প্রথমত, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পূর্বশর্ত হলো সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এবং ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা । বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগকে জনপ্রিয় করতে রেগুলেটরি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন । দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও দক্ষতা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে শ্রমবাজারের সংযোগ ঘটাতে শুধু ডাক্তার নয়, সমস্ত বেকারদের জন্য অন্তত ছয় মাসের ‘গণ-ইন্টার্নশিপ’ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট বাধ্যতামূলক করার সময় এসেছে । দক্ষতা ও কর্মসংস্থান নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য আলাদা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে । প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ছাড়াও অন্য বিদেশি ভাষা সেন্টার খোলা হলে বিদেশে চাকরি বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়বে । তৃতীয়ত, উদ্যোক্তা তৈরি ও বেসরকারি খাতকে প্রণোদনা দিতে হবে; ফ্রিল্যান্সিং উদ্যোগকে MSME ব্যবসা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং সহজ শর্তে কম সুদে ব্যাংকঋণ নিশ্চিত করা উচিত, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য । এছাড়াও, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত কৃষি এবং অখামারি শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে, যা গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে এবং কর্মসংস্থানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সাহায্য করবে । চতুর্থত, প্রশাসনিক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠে সরকারি অফিসগুলোতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন । পরিশেষে, কর্মসংস্থান কৌশলে বৈষম্যহীন উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে, যেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য রূপান্তরমূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ রাখতে হবে, এবং বেকারদের জন্য বিমা প্রকল্পসহ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে আরও ব্যাপক ও কার্যকর করতে হবে । জনমিতিক লভ্যাংশের সুফল কাজে লাগানোর জন্য সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে; সময় থাকতে সুপরিকল্পিত উপায়ে এগিয়ে যাওয়া এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গবেষকদের সমন্বয়ে এই জরুরি সংকট মোকাবেলায় জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক ।

