“অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়” এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবার সরাসরি দরিদ্র নারীদের জীবিকা উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শব্দমিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক ব্যতিক্রমী আয়োজনে ৫০ জন অস্বচ্ছল ও দরিদ্র নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ছাগল, হাঁস ও মুরগি। উদ্দেশ্য ছিলো নারীরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, পরিবারকে দিতে পারেন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সমাজে গড়ে তুলতে পারেন সম্মানজনক অবস্থান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা। তিনি বলেন
“আজ আমরা প্রাণী বিতরণের মাধ্যমে নারীদের হাতে তুলে দিচ্ছি স্বনির্ভরতার চাবিকাঠি। একজন নারী যখন সাবলম্বী হন, তখন তার সন্তান শিক্ষিত হয়, পরিবার এগিয়ে যায়, সমাজ বদলে যায়। এটা একটি পরিবর্তনের সূচনা।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, ক্লাব প্রতিনিধি ও উপকারভোগী নারীরা। স্থানীয়রা শব্দমিয়া পাড়ার শিক্ষা, অবকাঠামো ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নে জেলা পরিষদের চলমান ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও আরও সহায়তার আহ্বান জানান।
উপকারভোগীদের অনেকেই আবেগঘন কণ্ঠে জানান, এর আগে তারা কখনো সরকারি সহায়তায় এমন সুযোগ পাননি। এখন তারা বাড়িতে প্রাণিসম্পদ লালনপালন করে নিজে উপার্জন করতে পারবে, এটাই তাদের জীবনে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ি অঞ্চলে পশুপালন নারীর ক্ষমতায়নের একটি কার্যকর পথও বটে। ছাগল, হাঁস ও মুরগির মাধ্যমে সহজে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব হওয়ায় এই কার্যক্রম স্থানীয় নারীদের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।