খাগড়াছড়িতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাদার্স ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট, যা খেলার অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আপার পেরাছড়া সড়কের পাশে স্পোর্টস এরিনা মাঠে এই টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রমিলা ফুটবল কোচ জ্যোতিষ বসু ত্রিপুরা, যিনি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
এই ফুটসাল টুর্নামেন্টটি সপ্তাহব্যাপী চলবে এবং এতে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিটি ম্যাচ নক-আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, যা খেলার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে। স্থানীয় ও তরুণ খেলোয়ারদের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্টটি একটি প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী দর্শক ও খেলোয়াড়দের জন্য এটি একটি বিশেষ আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. হারুনুর রশিদ কাজল, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, মারমা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ম্রাসাথোয়াই মারমা, জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিনাত বিথী, বাফুফে’র কোচ তুহিন কুমার দে, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এবং অনিমেষ চাকমা রিংকু। এছাড়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান এবং অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে এই ধরণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
প্রসঙ্গত, ফুটসাল মূলত একটি ছোট মাঠে খেলা হয় এবং সাধারণত অভ্যন্তরীণ মাঠেই এর আয়োজন করা হয়। ফুটসালের মাঠ ফুটবল মাঠের তুলনায় ছোট এবং শক্ত, ফলে খেলাটি দ্রুত এবং উত্তেজনাপূর্ণ হয়। ফুটবলের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হিসেবে ফুটসাল খেলার প্রচলন হয়েছে এবং এটি ৫-৬ জন খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গঠিত দলে বিভক্ত হয়ে খেলা হয়।
খাগড়াছড়িতে প্রথমবারের মতো এই ধরণের টুর্নামেন্ট আয়োজনে স্থানীয় ক্রীড়া অনুরাগীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। আয়োজকরা আশা করছেন, এই টুর্নামেন্টটি স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করতে এবং তাদের দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, ফুটবলের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণ বাড়াতে ও তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে ফুটসাল টুর্নামেন্টটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই টুর্নামেন্টটি শুধুমাত্র খেলার ক্ষেত্রেই নয়, বরং স্থানীয় সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য একটি মিলনমেলা হিসেবে কাজ করবে। খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে আসবে এবং এতে ক্রীড়ামোদীদের মধ্যেও সেতুবন্ধন তৈরি হবে। তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হতে এই ধরণের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় খেলার খবর পড়ুন…