খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক ঘরোয়া মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। সভাটি সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিরুনা ত্রিপুরা বলেন,
“একে অপরের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির মাধ্যমে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সমাধান করা সম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের দেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের দেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া এই অঞ্চলের যথাযথ উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে সক্ষম হব।”
সভায় উপস্থিত বক্তারা উল্লেখ করেন, এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পার্বত্য চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফেরদৌসী বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল হক, পরিষদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম (সুমন), প্রফেসর আবদুল লতিফ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজু আহমেদ।
সভায় বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়।
আরও পড়ুন খাগড়াছড়ি নিয়ে…